মার্চ / ২৫ / ২০২৩ ০৮:০৮ অপরাহ্ন

৪৫ বছর ধরে দেশের অর্থমন্ত্রীর আসন দখলে ছিল সিলেটবাসীর!

আবদুল কাদের তাপাদার 


তারা দুজনেই এমসি কলেজের সহপাঠী। কলেজের ছাত্রাবস্হায় এম,সাইফুর রহমান ভাষা আন্দোলনের মিছিল করবার কারণে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটেন। এম,সাইফুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের বেতন কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

বিএনপির রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের পর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন।ফলে বিএনপির সরকারে তাঁর প্রভাব ছিল অপ্রতিরোধ্য।

সিলেটের উন্নয়নে সেই প্রভাবকে তিনি কাজে লাগিয়ে সিলেটবাসীর অন্তরঙ্গ হয়ে উঠেন।সর্বশেষ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। 

আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারের প্রভাবশালী আমলা থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আমলা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব। এরশাদের সরকারে মন্ত্রীর মর্যাদায় অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে সিলেট -১ আসন থেকে নির্বাচনে সহপাঠী বন্ধু বিএনপির এম,সাইফুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। আবার ২০০৯ সালে তাঁর কাছে পরাজিত হন এম,সাইফুর রহমান। 

২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে এমনি দিনে ৫ রমজানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এম,সাইফুর রহমান। 

আর এবারের রমজানের এমনই এক রাতে মারা গেলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। 

সিলেটের আরেক জন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া খুন হন দুর্বৃত্তের গুলিতে বিএনপি জোট সরকারের আমলে।

সিলেটের এই তিন অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থব্যবস্হা নিয়ন্ত্রণ করেছেন গত ৪৫ বছর যাবত। এটা সত্যিই সিলেটবাসীর জন্য গর্ব ও অহংকারের।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে 

আমাদের এই গৌরবময় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। 

সিলেটবাসী অদূর ভবিষ্যতে আর এমন ক্ষমতাবান

মেধাবী অর্থমন্ত্রীর দেখা পাবেন বলে মনে হয় না। 

আল্লাহ তাঁদের তিনজনকেই জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা বানিয়ে নিন এই দোয়া করি।